পরিসংখ্যান বলতে বোঝায় কোন তথ্য, ঘটনা, বিষয়ের সংখ্যা এবং গণনাবাচক পরিমাপকে। অন্যভাবে বলা যায়, পরিসংখ্যান হলো সংখ্যাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংগঠিত করা, বিশ্লেষণ করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং ব্যাখ্যা দানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হচ্ছে পরিসংখ্যা। পরিসংখ্যান শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ’statisticum collegium’ হতে উৎপত্তি হয়েছে।
পরিসংখ্যানের শাখা:
গড়
মধ্যক
প্রচুরক
অজিবরেখা
গণসংখ্যা
বহুভুজ
আয়তলখ
কেন্দ্রীয় প্রবণতার অর্থ হল কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার প্রবণতা। কোন একটি নিবেশন বা তথ্যসারিতে অনেকগুলো মান থাকে। আর একটি মান কেন্দ্রে থাকে। কেন্দ্রের মানটিকে কেন্দ্রীয় মান বলে।
অর্থাৎ, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে গনসংখ্যা উপাত্তের কেন্দ্রের দিকে পুঞ্জিভূত হওয়ার প্রবণতা কেই কেন্দ্রীয় প্রবণতা বা Central tendency বলে।
অথবা
অবিন্যস্ত উপাত্তসমূহ মানের ক্রমানুসারে সাজালে, উপাত্তসমূহ মাঝামাঝি কোনো মানের কাছাকাছি পুঞ্জিভূত হয়। উপাত্তসমূহের কেন্দ্রীয় মানের দিকে পুঞ্জিভূত হওয়ার এই প্রবণতাকে কেন্দ্রীয় প্রবণতা (Central Tendency) বলে।
কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপগুলো হলো : ১। গাণিতিক গড় বা গড়, ২। মধ্যক ও ৩। প্রচুরক।
যে সকল রাশির মান পরিবর্তনশীল সে সকল রাশির প্রতীক কে চলক বলা হয়। গনিতে ব্যবহ্নত এমন রাশি যার মান পরিবর্তীত হতে পারে, তাই চলক ।
চলকের বৈশিষ্ট্য - Properties of variables
i) চলকের মান নির্দিষ্ট থাকে না অর্থাৎ পরিবর্তন হয়।
ii) চলকের প্রতীকের মান ইচ্ছা মত ধরা যায় ।
iii) চলক ভিন্ন ভিন্ন মান ধারণ করতে পারে।
প্রধানত চলককে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যথাঃ গুনবাচন চলক ( Quantity variable) সংখ্যাবাচক চলক (Numeric variable)
গুনবাচক চলক ২টি হলো -
=>> বিচ্ছিন্ন চলক ( Dissociated variable) =>> অবিচ্ছিন্ন চলক ( Continuous variable)
বিচ্ছিন্ন চলক - Dissociated variable
যে সব চলক কে ভেঙ্গে পরিমান করা যায় না বা প্রকৃত পক্ষে অবিভাজ্য তাই বিচ্ছিন্ন চলক।
উদাহরনঃ i) শ্রমিকের সংখ্যা, ii) পরিবারের সদস্য সংখ্যা iii)স্কুলের ছাত্র সংখ্যা
অবিচ্ছিন্ন চলক - Continuous variable
যে কোন পরিসীমার মধ্যে গানিতিক যে কোন সংখ্যা মান গ্রহন করা যেতে পারে তাই অবিচ্ছিন্ন চলক।
উদাহরনঃ i) সময় ii) জন্মহার iii) বয়স iv) আয়।
পরিসংখ্যান এর কার্য ক্ষেত্র
রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ক্ষেত্রে।
রাষ্ট্রীয় কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে।
মানব কল্যাণ পরিসংখ্যান।
পূর্বাভাস প্রদান।
প্রাতিষ্ঠানিক নীতি নির্ধারণ।
ব্যবসা-বাণিজ্য।
অর্থনৈতিক গবেষণা।
রাজনৈতিক গবেষণা।
সামাজিক গবেষণা।
অতীত অভিজ্ঞতা সংরক্ষণে।
বিভিন্ন নীতি মালা নির্ধারণে।
জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও মূল্যায়ন।
রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নে।
জনগণের অধিকার রক্ষার্থে।
শিক্ষা কার্যে।
বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা।
প্রাতিষ্ঠানিক কার্যে।
রেমিটেন্স নির্ধারনে।